রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণ নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার পরিকল্পনা
- By Jamini Roy --
- 24 October, 2024
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতি ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণসহ পাঁচ দফা দাবি মানতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিল জাতীয় নাগরিক কমিটি। পাঁচ দফা ঘোষণার পরের দিনই অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে ‘সাংবিধানিক সংকটের’ ইঙ্গিত আসায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছে। তবে কবে, কোথায়, এবং কীভাবে এই আলোচনা হবে, তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রজ্ঞা নিউজকে জানান, "আমরা ঐক্যের ডাক দিয়েছি এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চাই। তারা কোথায় সংকট দেখছে তা পরিষ্কার হওয়া দরকার, তবে আমরা আমাদের দাবিতে অটল আছি।"
মঙ্গলবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ চলেছে। এই প্রেক্ষিতে, বুধবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, "নতুন কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।"
পরে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রজ্ঞা নিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে নতুন কোনো সংকট তৈরি করা বিএনপির উদ্দেশ্য নয়।
বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিতে এবং প্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের আহ্বান জানায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, "রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়টি রাজনৈতিক, তাই আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। তবে আমরা আমাদের দাবিতে অটল রয়েছি।"